চকরিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::
স্কুলে গিয়ে এক শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে মারধর ও বিবস্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে। ওই দু’জনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন শিক্ষিকা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রিংভং দক্ষিণ পাহাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ ডিসেম্বর শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটে। চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগম ২৮ জানুয়ারি ওই স্কুলে গিয়ে মালেকা বেগম নামের একজনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য স্কুলের এক শিক্ষিকাকে চাপ দেন। শিক্ষকা নিয়োগের বিষয়টি তার হাতে নেই বলে জানান। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী শিক্ষকার ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে প্রকাশ্যে মারধর শুরু করেন। তাকে শিক্ষার্থীদের সামনে বিবস্ত্র করেন। অভিযোগকারী শিক্ষিকা জানান, এ ঘটনার পর তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। তাকে মামলা না করতে হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনি কৌশলে কক্সবাজার শহরে গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আলমের ভাষ্য, মালেকা বেগম নামে এক শিক্ষিকাকে ওই শিক্ষিকা ৮ মাস ধরে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেননি। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসাবে তিনি তা সমাধানে স্কুলে গিয়েছিলেন। শিক্ষিকাকে মারধর ও বিবস্ত্র করার প্রশ্নই আসে না। সুত্র যুগান্তর ।
পাঠকের মতামত: